‘কৃষ্ণকলি’ খ্যাত টেলিভিশন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন টলিউড অভিনেতা ও বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক—এমন অভিযোগ করেন কাঞ্চনের স্ত্রী পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি, তা গড়িয়েছে মামলা পর্যন্ত। তবে শ্রীময়ীর সঙ্গে কাজের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি কাঞ্চনের।
শ্রীময়ীর সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করলেও বিভিন্ন সময়ে একসঙ্গে ঠিকই হাজির হচ্ছেন কাঞ্চন। রথযাত্রা উপলক্ষে গত বছরের ১২ জুলাই হুগলির মাহেশে একসঙ্গে গিয়েছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
সেখান থেকে আলাদা আলাদাভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও পোস্ট করেন। এরপর আলোচনায় উঠে আসে এই প্রেমিক যুগল।
গত বছরের শেষের দিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরে একসঙ্গে হাজির হয়ে আলোচনার জন্ম দেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। একসঙ্গে হাসিমুখে ক্যামেরাবন্দিও হন তারা।
একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর পৌরসভার ভোট উপলক্ষে একই মঞ্চে উষ্ণতা ছড়ান কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ। এ অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বর্ধমানের কালনায় গিয়েছিলেন তারা।
গত ৬ মে ছিল কাঞ্চনের জন্মদিন। এদিন ইনস্টাগ্রামে কাঞ্চনের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান শ্রীময়ী। জন্মদিন উপলক্ষে পার্টির আয়োজন করেছিলেন কাঞ্চন; এই পার্টির মধ্যমণি ছিলেন শ্রীময়ী।
এরপর গুঞ্জন চাউর হয় বিয়ে করেছেন এই যুগল। গুঞ্জনের জবাবে শ্রীময়ী বলেছিলেন, ‘ডিভোর্স না হয়ে বিয়ে সম্ভব নয়। তার আগেই সবাই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন! এবার তাহলে সন্তানের খবরও দেবে সবাই! এসবে আর অবাক হই না। তবে খারাপ লাগে।
গত মাসের শেষের দিকে ঘরোয়া এক পার্টিতে একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন শ্রীময়ী-কাঞ্চন। এ পার্টিতে আরো উপস্থিত ছিলেন—রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গাঙ্গুলি, জুন মালিয়া, অদিতি মুন্সী, তার স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীসহ বিনোদন দুনিয়ার অনেকেই।
২ জুলাই ছিল শ্রীময়ীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে এক পার্টির আয়োজন করেছিলেন এই অভিনেত্রী। আর তাতে মধ্যমণি ছিলেন কাঞ্চন। হাতে হাত রেখে জন্মদিনের কেক কাটেন এই প্রেমিক যুগল।
কাজের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই—এমন দাবি করলেও সব পার্টিতে একসঙ্গে কেন হাজির হচ্ছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী? এমন প্রশ্ন নেটিজেনদের।
এ বিষয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কাঞ্চন বলেন, ‘শ্রীময়ীর সঙ্গে ছবি তোলা কি বারণ? কোথাও কি এমন বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ আছে? আমরা একসঙ্গে ছবি তুললেই কেন এত কথা?
তারপর কাঞ্চন বলেন—‘অনেক তো হলো! বিষয়টা নিয়ে অকারণে জলঘোলার কী দরকার?
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।